Taslima Nasrin (Bangladesh/Sweden) is a Bangladeshi-Swedish award-winning writer, physician, secular humanist and human rights activist, is known for her powerful writings on oppression of all kinds. She has fiercely criticised religion, despite forced exile and multiple fatwas calling for her death. In India, Bangladesh and abroad, Nasreen’s fiction, nonfiction, poetry and memoir have topped the best-seller’s list. Born in Bangladesh, Taslima won The Sakharov Prize for Freedom of Thought from the European Parliament in 1994. She received the Kurt Tucholsky Award from Swedish PEN, the Simone de Beauvoir Award and Human Rights Award from Government of France, Le Prix de l’ Edit de Nantes from the city of Nantes, France, Academy prize from the Royal Academy of arts, science and literature from Belgium.
English
Bengali
Time…
Time, thus stupefied, will stand for a several more years
Thus exactly, will Time wait, steadfast-
Face masked, eyes shut, those stony eyes.
Gradually, silence will close upon stillness,
In width, they will scale the sky, in breadth till the horizon
Time’s offsprings, they are; formless, thoughtless inheritors.
At times, in my secret breaths, is nestled, parasitic Time
At times, from its cold shoulders, like a headless being, I come crawling
Unto its knee, hanging lonely, alone I watch the cosmos go around in seven steps.
Amazed, I am impelled to live a little more,
Several days more. Let life start from birth, or maybe, banging against death, let life retrace steps
To a birth, afresh.
Who else would let me live!
In some intricate web, upon who-knows which morn,
Taking me as its own child, if out-of-sight, nursing me like a destitute kin, it has tied me-
My Time.
Who would have given, on whom would have been entrusted, my life and death.
From time to time, for who else, but for Time itself I run, all day,
Against light, affectionately I see it, its stony eyes coming alive-
Its body, though doesn’t rest even two bits,
Upon its eyes, a black blindfold, it quickly ties.
Through naked nights, melancholy swims in still winds,
Holding days in clenched fists, silence spins around me,
Time stands still, mute. Time stands still, painless,
Heedless. Time stands still, careless.
Much like God, immobilized. Time.
My Time.
With love, hate, respect, in secret
I hold him in my heart, carry him in veins, let him be alive.
My Time. My assassin, I am born to birth him.
LOVE IF YOU WILL
This inhospitable chill, colder than ice,
Amid starless gloom, the cosmos stares with eyes corpse-like.
The sky is no more, upon man a man’s face is no more,
Paring and tearing, aiming toxic darts unto his self, himself will he destroy.
Underneath a train’s mad wheels
Would he throw all that remained, that still is, what could have been, all of it.
Such you claimed, if I left, things would be.
Dead, you would be.
But nowhere have I been,
Accusing me falsely, yourself have you walked away, non-chalantly.
Nor did I call you back.
That you will return a while later, musing thus, I didn’t call you back.
I stood the whole afternoon, the evening, stood the whole night.
Don’t you think, I went nowhere, for nowhere could I go,
I moved not an inch, for nowhere did I wish to go. Precisely where you left me,
There itself, cold, still, stony , I grew
I withstood.
Somewhere, what if, you might be
Wrenching your life from within life,
Deep inside a dark, damp cave, or stumbled upon a train-track-
Anxiety, a poisonous snake, coiled nightly around my lifeless shape.
Upon the grass, the morning dew trembled yet,
The fair-ground was drowsy, yet.
With incredulous eyes, I see you at a woman’sfeet
Kneeling-down, like the adulterous Krishna, are you pleading,
With self-same prose and verse, upon her, serenading.
That smile, that gaze of yours, have I known for a long while.
Dreaming, you kiss her, I know. Fantasizing, you cross all lines, you do
The fact that I wish to scream—go love, as you will,
Go far away and love, not before my eyes, don’t you love---
But I stilled.
My voice too, how strangely it froze, icier than ice
Deadfall…
Gathering deadfall, I muse of torching them many a time,
As darkness comes, no matter how dark it is, I hold a flame.
Their gaze gives me goosebumps.
Death sheds all debts-
The leaves fly wherever, rioting within and without,
Bang against the window, flirt, play and laugh
They whisper non-stop, fall, do fall, keep falling.
I know there is nothing to it, yet who-knows-what, I dowse the flame.
I never can burn these leaves, some days they cry and so I desist
Snivelling, whimpering, as it were, under some feet.
As the cry scales the sky, aeon’s deathly silence
Crashes from a crescendo…
Someone walks in, into my lonely life someone comes by,
Might be he ventured nearby, so what, still he came by.
These fallen leaves hearken him, so long they hearken,
Till then I know he comes, till then I tell myself, that not nearby, not losing way, but at year-end, finding one’s way, looking
For me, someone will come by, affectionately.
Those few moments, for those few illusions
My hands and legs open up, I open up, this heart opens to admit life.
Around the house is a hillock of fallen leaves,
I simply can’t torch them.
I am drowning in these leaves, can’t burn them.
সময়
সময় এভাবেই হতবুদ্ধির মতো দাঁড়িয়ে থাকবে আরো কয়েক বছর
সময় ঠিক এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে ঠাঁয়
মুখ-মাথা ঢেকে, চোখ বুজে, পাথর চোখগুলো।
ধীরে ধীরে স্তব্ধতার গা ঘেসে দাঁড়াবে নৈঃশব্দ,
দৈর্ঘৈ আকাশ ছোবে, প্রস্থে দিগন্ত,
সময়ের সন্তান তারা; নিরাকার নির্বিকার উত্তরাধিকার।
কখনো আমার নিভৃত নিঃশ্বাসে বাসা বাঁধে পরাশ্রয়ী সময়,
কখনো তার ঠাণ্ডা কাঁধ থেকে কবন্ধের মতো হামাগুড়ি দিতে দিতে
তার জানুতে এসে ঝুলে থাকি একা, একা একা ব্রহ্মাণ্ডের সাত পাক
দেখে বিস্মিত হতে হতে ইচ্ছে করে আরও বেচেঁ থাকি,
আরও দীর্ঘ দীর্ঘ দিন। জন্ম থেকে শুরু করি জীবন, অথবা মৃত্যুর গায়ে ধাক্কা খেয়ে পিছু হঠতে হঠতে নতুন কোনো জন্মে গিয়ে ঠেকি।
কে আমাকে বাঁচতে দেবে আর!
সূক্ষ্ম সব সুতোয় কে জানে কোন ভোরে
নিজের সন্তান ভেবে, চোখের আড়াল হলে চোখের-জল ফেলা আত্মীয় ভেবে, বেঁধেছে, আমাকে আমার সময়।
কে যে দিয়েছিলো, কার হাতে কবে দিয়েছিলো আমার জন্ম মৃত্যু!
সময় সময়
করে, আর কার কাছে, সময়ের কাছেই দিনভর দৌড়োই
আলোয় মেলে,ভালোবাসে তাকে জীবন্ত করে দেখি চোখ থেকে পাথর খসে যায়,
শরীর থেকে শুধু তার দুটো মুহূর্ত খসে না।
চোখে সে আবার দ্রুত পরে নেয় কুড়িয়ে পাওয়া
কালো কাপড়।
উলঙ্গ রাত্তির জুড়ে নৈঃশব্দের হাওয়ায় সাঁতার কাটে বিষাদ,
দিনগুলো মুঠোয় নিয়ে স্তব্ধতা আমার চত্তরে চরকির মতো ঘোরে,
সময় দাঁড়িয়ে থাকে, কোনো কথা নেই। সময় দাঁড়িয়ে থাকে, কষ্ট
নেই,
কাঁপন নেই। সময় দাঁড়িয়ে থাকে, পিছুটান নেই।
ঈশ্বরের মতো চলৎশক্তিহীন। সময়।
আমার সময়।
আমি তাকে ভালোবেসে,ঘৃণা করে, তাকে সসম্মানে, গোপনে,
তাকে হৃৎপিণ্ডে, রক্তচলাচলে বহন করি, বাঁচাই।
আমার
সময়। আমার আততায়ী, আমি জন্মে তাকে জন্ম দিই।
প্রেমকরছো, করো
ভীষণঠান্ডা, বরফেরচেয়েওভীষণ,
নক্ষত্রহীনঅন্ধকারেমৃতকিছুরচোখের মতোজগত।
আকাশবলেকিছুনেই, মানুষেরমুখেআরমানুষেরমুখনেই,
খুলেখুলেছিঁড়েছিঁড়েবিষতীরছুড়েনিজেরজীবনকেনিজেইনষ্টকরেদেবে।
কোনওউন্মাদট্রেনেরচাকারতলায়
শেষেছুড়ে দেবেযাছিল, যাআছে, যাহতেপারতো, সব।
এরকমইবলতে, আমিচলেগেলে, হবে।
মরেযাবেতুমি।
আমিকিন্তুকোথাও যাইনিকোথাও,
মিথ্যেমিথ্যেদোষদিয়েতুমিইদিব্যিহেঁটেগেছো,
পেছনেডাকিনিআমি।
খানিকটাপথগিয়েফিরেআসবেভেবেই ডাকিনি।
দাঁড়িয়েছিলামসারাদুপুর, বিকেল, ছিলামসারারাত।
কোথাওযাবারআমারকিছু ছিলোনাবলেযাইনিভেবোনা,
যাবোনাবলেইএকপানড়িনি।যেখানেরেখেগেছো,
সেখানেই শীতলহতেহতেস্তব্ধহতেহতেপাথরহতেহতে
দাঁড়িয়েছিলাম।
কোথাওহয়তোতুমি,
টেনেহিঁচড়েবেরকরছোজীবনেরভেতর থেকেনিজেরজীবন,
কোনওগভীরস্যাঁতস্যাঁতেগুহায়বাকোনওট্রেনের লাইনেমুখথুবড়েপড়েআছো---
আশংকারবিষধরসাপ আমারপাথরশরীরজুড়েসারারাতহাঁটে।
সকালেরশিশিরতখনওঘাসেরডগায়তিরতিরকাঁপছে,
তখনওমেলারমাঠঘুমঘুম।
আমিঅবিশ্বাস্যচোখেদেখি কোনওএকরমণীরপায়েরকাছে
হাঁটুগেড়ে বসেসেইএকইভঙিতেত্রিভঙ্গকৃষ্ণেরমতোভিক্ষেচাইছো,
একই পদ্যেগদ্যে ভোলাতেচাইছো রমণীকে।
তোমারওইহাসি, ওইচাহনীরঅনুবাদজানিদীর্ঘদীর্ঘদিন।
মনেমনেচুমুখাচ্ছোতাকে,জানি।মনেমনেযতদূরযেতেপারো, গেছো।
আমিযেচেঁচিয়েবলবো -- যাকেযত ইচ্ছেভালোবাসো,
শুধুদূরেগিয়েবাসো, আমারচোখেরসামনেবেসোনা---পারিনা।
কণ্ঠস্বরওকেমন আশ্চর্যজমেআছেবরফেরওচেয়েওভীষণবরফে।
ঝরাপাতা
ঝরাপাতাদেরজড়োকরেপুড়িয়েদেবভেবেছিঅনেকবার,
রাতহলেওযতরাতইহোক, আগুনহাতেনিই।
ওদেরতাকিয়েথাকাদেখলেগাশিরশিরকরে।
ঝরেগেলেকিছুরআরদায়থাকেনা
যেমনখুশিওড়ে, ঘরেবারান্দায়হৈহৈকরেখেলে,
জানালায়গোত্তাখাচ্ছে, গায়েলুটোপুটি, হাসছে,
কানেকানেবারবারবলে, ঝরেযাও, ঝরো, ঝরেযাও।
মনবলেকিছুনেইওদের।তারপরওকীহয়কেজানে, আগুননিভিয়ে
দিই।
পাতাগুলোপোড়াতেপারিনা, কোনওকোনওদিনহঠাৎকাঁদেবলে
গুমড়েগুমড়েকারওপায়েরতলায়কাঁদে।
কান্নারশব্দদিগন্তঅবধিছড়ানোশতশতাব্দিরমরুময়নৈঃশব্দ
ভেঙেভেঙেজলতরঙ্গেরমতোউঠেআসে..
কেউহেঁটেআসে, আমারএকলাজীবনেকেউআসে।
সেনাহয়দুদণ্ডদেখতেএল, তবুতোএল।
সেনাহয়কাছেইকোথাওগিয়েছিলো, তাইএল, তবুতোএল।
ঝরাপাতারাতাকেনিয়েনিয়েআসে, যতক্ষণনিয়েআসে,
ততক্ষণজানিআসছে, ততক্ষণনিজেকেবলিকাছেইকোথাওনয়, পথ
ভুলকরেনয়,
আসলেআমারকাছেই, বছরভরঘুরে, ঠিকানাযোগাড়করে, খুঁজে
খুঁজে
আমারকাছেইআসছেকেউ, ভালোবেসে।
ওইঅতটাক্ষণই, ওইঅতটাকুয়াশাই
আমারহাতপাখুলেখুলে, খুলিখুলে, বুকখুলেগুঁজেদিতেথাকেপ্রাণ।
বাড়িরচারদিকপাহাড়হয়েআছেঝরাপাতার,
পোড়াতেপারিনা।
ডুবেযেতেথাকিঝরাপাতায়, পোড়াতেপারিনা।
Translated from Bangla into English by Suparna Sengupta
Suparna Sengupta lives in Bangalore, India and is a faculty, Department of English at the Jyoti Nivas College for more than a decade now. She has translated various poets from India and Bangladesh and has been published in literature magazines.